এলাকাবাসী জানায়, জুরাছড়ি-বরকল উপজেলার একমাত্র নদীপথে শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি কমে গিয়ে চড় জেগে উঠলে এ পথে যাতায়াত করা লঞ্চ উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার আগে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এতে কেউ পাহাড়ি পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে অথবা কেউ আবার ইঞ্চিনচালিত ছোট নৌকায় করে চলাচল করেন। ফলে সেখানে বসবাসরত হাজারো মানুষের আসা-যাওয়ায় অনেক কষ্ট হচ্ছে।
আর ইঞ্চিনচালিত ছোট নৌকায় করে চলাচল করতে গিয়ে জেগে উঠা চরে অনেক সময় নৌকা আটকে গেলে যাত্রীদের কষ্টের সীমা থাকে না। সেই সাথে বেশি ভাড়াও গুনতে হয়। তাই সুবলং খাল পুনঃখননে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান এলাকাবাসী।
রাঙামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলার অভ্যন্তরে নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে রাস্তা মাথা হতে স্বাগতম জুরাছড়ি উপজেলা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সুবলং খাল পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যা চলতি অর্থবছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার আশা রয়েছে।
তবে ঠিকাদার মের্সাস গরিবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি চিরঞ্জীব চাকমা জানান, খাল পুনঃখনন কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তারপরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ এগিয়ে চলেছে।
তিনি জানান, রাস্তা মাথা হতে স্বাগতম জুরাছড়ি উপজেলা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ধরা হলেও পাহাড়ি বাঁক ও স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ অনুরোধে প্রায় অতিরিক্ত ৩ কিলোমিটার কাজ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত কাজের জন্য বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া না গেলে লোকসানে পড়তে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, সঠিকভাবে খনন সম্পন্ন হলে যাতায়াতের কষ্ট কমবে এবং এলাকায় পাহাড়ি ঢলের (আকস্মিক বন্যা) ক্ষতি রোধ ও বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
রাঙামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে প্রতি উপজেলায় একটি করে খাল পুনঃখনন কাজ করা হচ্ছে। আগামী বছর প্রতি উপজেলায় আরও পাঁচটি খাল পুনঃখননের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ২-৩ কিলোমিটার খনন কাজ করছে। যা খুবই প্রশংসনীয়। এ অতিরিক্ত কাজের বিশেষ বরাদ্দের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।